ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল চান না বাটলার
ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল!
শেষ চারের লাইনআপ ঠিক হওয়ার পর থেকেই এমন একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়ে আছে। আজ প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তান ফাইনালে ওঠার পর যা আরও উজ্জ্বল। আগামীকাল অ্যাডিলেডে ভারত ইংল্যান্ডকে হারাতে পারলেই রোববার এমসিজিতে মুখোমুখি হবে এশিয়ার দুই প্রতিবেশী।
২০০৭ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরেও ফাইনাল খেলেছিল ভারত–পাকিস্তান। বিরাট কোহলি–বাবর আজমরা সর্বশেষ কোনো ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছেন ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে।
পাঁচ বছর পর ভারত–পাকিস্তানের আরেকটি ধ্রুপদি ফাইনালের সম্ভাবনা এবার। তবে জস বাটলার সে সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিতে চান। অ্যাডিলেডে আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ইংলিশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘দেখুন, আমরা অবশ্যই চাইব না ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল হোক। এটা হতে না দিতে যা কিছু করা দরকার, করব।’
বাটলার অবশ্য ভারতকে বেশ সমীহ করছেন, ‘ওরা খুব শক্তিশালী দল। দীর্ঘদিন হলো ওরা বেশ ধারাবাহিক। দলে কিছু সহজাত প্রতিভা আছে, গভীরতাও অনেক। ওদের দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় আছে।’
এবারের আসরে ভারতের হয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আলো ছড়াচ্ছেন সূর্যকুমার যাদব। সুপার টুয়েলভ পর্বে ৩ ম্যাচে ফিফটি করেছেন; স্ট্রাইকরেট ২০০ ছুঁই ছুঁই। পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হটিয়ে আইসিসি টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেও উঠে এসেছেন ভারতের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছেন। সে কারণে সূর্যকুমারকে দ্রুত আউট করার উপায় খুঁজছেন বাটলার, ‘ওর খেলা দেখতে ভালো লাগে। আমার চোখে সে টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান। স্বাধীনভাবে খেলতে পারাটাই ওর সবচেয়ে বড় শক্তি। হাতে প্রচুর শট আছে। তবে যেকোনো ব্যাটসম্যানকে আউট করতে একটি ভালো বল যথেষ্ট। একটা সুযোগ সৃষ্টি করলেই (ওর) উইকেট তুলে নেওয়া সম্ভব। আমরা সেই উপায় খুঁজতে মরিয়া হয়ে আছি।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে কুঁচকিতে চোট পেয়েছেন ইংল্যান্ড টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ডেভিড ম্যালান। শারীরিক সমস্যায় ফাস্ট বোলার মার্ক উডও গত দুই দিন অনুশীলন করেননি। তাঁদের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে বাটলার বলেছেন, ‘সেরে ওঠার জন্য যথেষ্ট সময় পাচ্ছে ওরা। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করব। চিকিৎসকদের ওপর আমরা আস্থা রাখছি।’
ভুবনেশ্বর কুমারের সুইং অতীতে বেশ ভুগিয়েছে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের। বাটলার নিজেও বেশ কয়েকবার ‘ভুক্তভোগী’ হয়েছেন।
তবে এবার তাঁর কথায় ফুটে উঠেছে সাহসিকতার ছাপ, ‘নিজের খেলা নিয়ে আমি সব সময় আত্মবিশ্বাসী। কিছু বোলার আছে, যাদের সামলানো কঠিন। তাদের বিপক্ষে ভালো–খারাপ দুই রকম সময়ই আসবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখি। আমি কাউকে ভয় পাই না। শুধু আমার সামনে আসা বল দেখি, বোলারকে দেখি না।’