ভারতে বিশ্ব খাদ্য ক্ষুধা সূচক আরও নীচে পড়ল!
বিশ্ব খাদ্য ক্ষুধা সূচকে ভারত এখন ১১১ তম স্থানে অবস্থিত, যা এক বছরে চার ধাপ পিছিয়ে গেলেও পূর্বে তার অবস্থান ছিল ১০৭ নম্বরে। এই তথ্যটি আসছে ২০২২ সালের ‘গ্লোবাল হাংগার ইনডেক্স’ থেকে, যেখানে ভারতের ক্ষুধা সূচক ছিল ২৮.৭। এ সময় তার মান বাড়ে প্রাপ্ত নম্বর ২৮.৭ এবং এটি দেখা গিয়েছে এই বিষয়বস্তুতে ভারতের অবস্থান আরও খারাপ হয়েছে।
বিশ্বের ১২১টি দেশের মধ্যে এই সমীক্ষা হয়েছে এবং তার মধ্যে ভারত শীর্ষে থাকলেও সেটির সাথে মিলিয়ে পড়শি পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, এবং শ্রীলঙ্কা। পড়শি পাকিস্তান ১০২ নম্বরে, বাংলাদেশ ৮১, নেপাল ৬৯, এবং শ্রীলঙ্কা ৬০ নম্বরে অবস্থান করে।
এই সমীক্ষার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, ভারতে ‘চাইল্ড ওয়েস্টিং’ এর হার সর্বাধিক। এই হার অবস্থান করছে ১৮.৭ শতাংশ। এটি মূলত শিশুদের উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের কারণে হয়। এর মাধ্যমে জানা গিয়েছে এই দেশে শিশুদের অপুষ্টির হার কতটা মারাত্মক। এছাড়া, ফলাফল আরও জানাচ্ছে, ভারতে অপুষ্টির হার ১৬.৬ শতাংশ। এছাড়া, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতার সমস্যা রয়েছে ৫৮.১ শতাংশ ক্ষেত্রে।
তবে, ‘জিএইচআই’ বা ‘গ্লোবাল হাংগার ইনডেক্স’ এর এই ‘হাংগার স্কোর’ কে নয়াদিল্লি খুব গম্ভীরভাবে খারিজ করেছে। দেশের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের দাবি অনুসারে, এই নির্ধারণগুলি সঠিক নয়। মন্ত্রকের বিবৃতির মধ্যে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে যে, তিনটি মাপকাঠির মধ্যে যে তিনটি ব্যবহার হয়েছে, তাদের মাধ্যমে কখনও গোটা দেশের মানুষের ক্ষুধাসূচক নির্ণয় করা হয়নি। মাত্র ৩,০০০ জন শিশুর উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। এই সূচকগুলির জন্য ব্যবহৃত তথ্য ইউনিসেফ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-সহ রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন রিপোর্ট এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক সংস্থা থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিজেপি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনার মাধ্যমে বিরোধী নেতারা সহজেই বিবাদ আরম্ভ করেছেন। এই সমালোচনার মূল ভিত্তি হল অপুষ্টি, শিশু স্টান্টিং, শিশু অপচয়, এবং শিশু মৃত্যু সহ চারটি বিষয়ে। এই সময় প্রকাশিত সূচকগুলি দিয়ে বিপক্ষেরা দাবি করছে মূলত এই চারটি বিষয়ে ত্রুটি রয়েছে এবং তাদের মধ্যে গুরুতর ভুল রয়েছে।