হেরে অনিশ্চয়তায় লোকেশ রাহুলের লক্ষ্ণৌ
ম্যাচটা লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস জিতে গেলে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই স্থানের একটি নিশ্চিত করেই ফেলত। কিন্তু সেটি হয়নি। রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ২৪ রানে হেরে শেষ চারে থাকাটাই এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে লক্ষ্ণৌর। আজকের জয়ে প্লে–অফ মোটামুটি নিশ্চিত রাজস্থানের। বড় কোনো অঘটন না ঘটলে প্লে–অফের চার দলের একটি হতে যাচ্ছে তারা।
১৩ ম্যাচে ৮ জয়, ৫ হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এ মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় দল লক্ষ্ণৌ। ১৪ পয়েন্ট এরই মধ্যে রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। যদিও প্লে–অফে খেলার সুযোগ এখনো আছে লক্ষ্ণৌর। তবে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে শেষ রাউন্ডের ম্যাচগুলোর ওপর। টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান তোলে রাজস্থান। জবাব দিতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানের বেশি করতে পারেনি লক্ষ্ণৌ।
জস বাটলার রান পাননি। কিন্তু যশস্বী জয়সোয়াল, সঞ্জু স্যামসন, দেবদূত পাড়িক্কাল রান পেয়েছেন। খুব বড় কিছু নয়। জয়সোয়াল ২৯ বলে ৪১, সঞ্জু ২৪ বলে ৩২, পাড়িক্কাল ১৮ বলে ২৯ রান করেন। নিচের দিকের রিয়ান পরাগ, জিমি নিশাম, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ট্রেন্ট বোল্টদের ব্যাটিং ছিল দুর্দান্ত। পরাগ ১৬ বলে ১৯, নিশাম ১২ বলে ১৪, অশ্বিন ৭ বলে ১০ আর বোল্ট ৯ বলে ১৭ রান করেন। নিচের দিকের ব্যাটসম্যানদের কল্যাণেই রাজস্থান মোটামুটি বড় সংগ্রহ গড়ে। লক্ষ্ণৌর রবি বিষ্ণই ২ উইকেট নিয়েছেন। আবেশ খান, জেসন হোল্ডার আর আয়ুশ বাদানি নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
দীপক হুদা লক্ষ্ণৌর হয়ে জবাবটা ভালোই দিয়েছিলেন। কিন্তু লড়াইটা ছিল তাঁর একারই। ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। তাঁকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন ক্রুণাল পান্ডিয়া, মার্কাস স্টয়নিস। ক্রুণাল ২৩ বলে ২৫ আর স্টয়নিস ১৭ বলে ২৭ করে লক্ষ্ণৌকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু কুইন্টন ডি কক, লোকেশ রাহুলদের ব্যাট থেকে কিছুই পায়নি লক্ষ্ণৌ। নিচের সারির ব্যাটসম্যানরাও করতে পারেননি কিছুই।